শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, নগরের সেবা সংস্থাগুলোর কাজের মধ্যে সমন্বয় নেই। যে কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনসহ বিভিন্ন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমস্যায় পড়তে হয়।
শনিবার (৬ মার্চ) বিকাল সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আবদুল খালেক মিলনায়তনে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) চট্টগ্রাম এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সভাপতির বক্তব্যে সিকান্দার খান আরো বলেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি সংস্থাগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে সাধারণ জনগণকেও এতে সম্পৃক্ত করতে হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদী খননের কোন বিকল্প নেই। আর কর্ণফুলী বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে, চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে।
সভায় জলাবদ্ধতা নিরসনে মতামত উপস্থাপন করেন হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মনজুরুল কিবরিয়া।
তিনি তার বক্তব্যে চট্টগ্রামের ১৫টি খালের বিষয়ে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন।
মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, এত বছর পরেও চট্টগ্রামের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কোথায় হাউজিং আর কোথায় শিল্প কারখানা করা হবে এ বিষয়ে ভূমি ব্যবহারের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি। একইসঙ্গে কর্ণফুলী দখলমুক্ত না হলে কোটি টাকা খরচ করলেও জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হবে না।
মতবিনিময় সভার শুরুতে পরিবেশবিদ ও বাপার সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আলী আশরাফ চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সামগ্রিক রুপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা অনুধাবন ধরে প্রধানমন্ত্রী সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু এক বছর পার হতে চললেও আমরা কার্যত কোনো অগ্রগতি দেখছি না। কোন কোন সংস্থা এ বিষয় নিয়ে সিরিয়াস প্রকারের কাজ করছে এমন কোনো হালনাগাদ তথ্য আমাদের কাছে নেই।
এসময় পরিবেশবিদ ইঞ্জিনিয়ার সুভাষ বড়ুয়া, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সিডিএ‘র নগর পরিকল্পনাবিদ মো. শাহীন, স্থাপত্যবিদ জেরিন হোসেন, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
জয়নিউজ/পার্থ/জুলফিকার