জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তাঁর সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ট্রাস্ট গঠন করে দান করেছেন।
৫ জনকে সদস্য করে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকালে ট্রাস্ট গঠনের সময় উপস্থিত জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সাল চিশতি এ তথ্য জানিয়েছেন।
এরশাদ নিজেও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন এরশাদের ছেলে এরিক এরশাদ, একান্ত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আক্তার, চাচাতো ভাই মুকুল ও তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর।
তবে ৯০ বছর বয়সী সাবেক এই সামরিক শাসক তাঁর ট্রাস্টি বোর্ডে রাখেননি স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদেরকে।
জাতীয় নির্বাচনের সময় এরশাদ ইসিতে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তাতে বার্ষিক ১ কোটি ৮ লাখ টাকা আয়ের কথা জানান। সম্পদের বিবরণীতে তিনি আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, অনির্ধারিত ব্যবসা, বিভিন্ন কোম্পানি থেকে বেতন ও সম্মানীর কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়া রাজধানীর গুলশান ও বনানীতে সর্বশেষ তিনি দু’টি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, যার মূল্য যথাক্রমে ৬ কোটি ২০ লাখ এবং ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
ইউনিয়ন ব্যাংকে এরশাদের ঋণ রয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। তিনি নিজেও এই ব্যাংকের একজন পরিচালক। ব্যাংকটি থেকে তিনি বার্ষিক ৭৪ লাখ টাকা বেতন হিসেবে পান।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে একাদশ সংসদ নির্বাচনে একদিনের জন্যও দলীয় প্রচারণায় অংশ নেননি এরশাদ। নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনের ২৬ দিনের মধ্যে মাত্র একদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন তিনি।