অগ্নি নিরাপত্তা ও জীবন সুরক্ষায় ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ৯টি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট।
সোমবার (৮ এপ্রিল) আগারগাঁও স্থপতি ইনিস্টিটিউট পরিষদে ‘অগ্নি নিরাপত্তা ও জীবন সুরক্ষা: নির্মিত এবং নির্মিতব্য ভবন এর জন্য করণীয়’ সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউটের সভাপতি জালাল আহমেদ, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশ, স্থপতি রফিক আজম, স্থপতি ইকবাল হাবিব, স্থপতি এহসান খান ও স্থপতি ফয়েজ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা অগ্নি নিরাপাত্তা ও জীবন সুরক্ষার বিভিন্ন দিক নির্দেশামূলক বক্তব্য দেন। স্থপতি পরিষদের দেওয়া আশুকরণীয় ৬টি ও দীর্ঘমেয়াদী করণীয় ৩টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
প্রস্তাবগুলো হলো:
১. রেট্রোফিটিং এর মাধ্যমে পূর্ব নির্মিত ভবনসমূহে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
২. হালনাগাদকৃত বি এন বি সি দ্রুত অনুমোদন এবং ভবন নির্মাণে এর যথাযত প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ।
৩. ভবনের ‘অকুপেন্সি সার্টিফিকেট’ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা।
৪. রাজউকের নগর উন্নয়ন কমিটিকে কার্যকরী ভূমিকায় নিয়ে আসা।
৫. রাজউকের রেগুলেটরি কার্যক্রমকে আরো জোরদারকরণ।
৬. ইন্টেরিয়র ডিজাইন-এ ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রির ফায়ার রেটিং নিশ্চিতকরণ।
৭. অগ্নি নিরাপত্তা ও জীবন সুরক্ষা বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করা।
৮. অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের পাঠ্যক্রমে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা।
৯. বাংলাদেশ স্থপতি ও প্রকৌশলীদের অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নকশা প্রণয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা।