রেলের আধুনিকায়নে একগুচ্ছ প্রস্তাব রেলমন্ত্রীকে দেওয়ার জন্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমেদের কাছে হস্তান্তর করেছেন ‘জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই’ নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মহাব্যবস্থাপক সিআরবির দফতরে মতবিনিময়কালে এসব প্রস্তাব দেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজন।
যাত্রীসেবার মানবৃদ্ধি করে রেলওয়েকে অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু করতে সুজনের একগুচ্ছ প্রস্তাব মন দিয়ে শোনেন সৈয়দ ফারুক।
এ সময় তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট কিনলেও সঠিক যাত্রী ভ্রমণ করছে কি-না তা যাচাই করতে হবে। কালোবাজারিদের হাতে একাধিক টিকিট চলে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা আসনসহ টিকিট নিতে পারছে না। তাই স্টেশনের কাউন্টার, অনলাইনের পাশাপাশি বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে রেলের টিকিট বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত কনটেইনার পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত কোচ চালু করলে একদিকে রেলওয়ের আয় বাড়বে অন্যদিকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে রেল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে এবং মহাসড়কের যাত্রীসাধারণও যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত চাপ থেকে রক্ষা পাবে।
আরেক প্রস্তাবে সুজন বলেন, চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন প্রয়োজন। এছাড়াও সুবর্ণ, সোনার বাংলা, তূর্ণা নিশীতা, উদয়ন এক্সপ্রেস এবং পাহাড়ীকার যাত্রীসেবার মান এবং সোনার বাংলা ট্রেনে ২৫০ টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করা খাবারের মান উন্নয়ন করতে হবে।
চট্টগ্রাম-দোহাজারী, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট শাখা লাইন উন্নত করে নতুন কোচ সংযোজনের উপর জোর দেন সুজন। তিনি বলেন, দোহাজারী লাইনে অতিরিক্ত মালবাহী কোচ সংযোজন করে স্থানীয় কৃষিপণ্য নগরে আনার ব্যবস্থা করা হলে চাষিরা ন্যায্য মূল্য অন্যদিকে ভোক্তারাও কম দামে তাজা সবজি পাবেন। কক্সবাজার থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইনের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করারও আহ্বান জানান তিনি।
মিরসরাই-চিকনি আস্তানা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত লোকাল ট্রেন সার্ভিস চালু করার কথাও বলেন সুজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেল শ্রমিক লীগ নেতা শেখ লোকমান হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, অরুণ চন্দ্র দাশ, গোকুল চক্রবর্তী, রাজনীতিবিদ মো. ইলিয়াছ, এসএম আবু তাহের, সংগঠনের সদস্য সচিব হোসেন কোম্পানি, আব্দুল আজিম, মো. এজাহারুল হক, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, মো. সেলিম, পংকজ চৌধুরী কংকন, এএসএম জাহিদ হোসেন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, রেল শ্রমিক লীগ নেতা আশরাফ আলী, সাইফুল ইসলাম মামুন, মো. সোলায়মান সুমন, উত্তম কুমার আচার্য্য, মো. শাহজাহান, সমীর মহাজন লিটন, সাইফুল্লাহ আনসারী, শেখ মামুনুর রশীদ, জাহাঙ্গীর আলম, সফি আলম বাদশা, স্বরূপ দত্ত রাজু, রকিবুল আলম সাজ্জী, সরওয়ার্দী এলিন, সাজ্জাদ হোসেন, তোফাজ্জল ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না, হাসান মুরাদ, সাইমুন হোসেন ভোর, রাজেশ সেন ও আলী আজম চৌধুরী জুয়েল।