সুফিবাদের মাধ্যমেই চট্টগ্রামে ইসলামের প্রচার ও প্রসার হয়েছে। তা্ই সুফিবাদ সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট ধারণা পেতে সবাইকে তাগিদ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। ‘চট্টগ্রামের সুফি সাধক ও দরগাহ: সুফিবাদ চর্চার হাজার বছর’ বইয়ের পাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাবলেন মেয়র।
বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘যোগাযোগ চিন্তন কেন্দ্র’র আয়োজনে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়। ‘যোগাযোগ চিন্তন কেন্দ্র’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চিন্তা, গবেষণা ও তৎপরতার প্ল্যাটফর্ম।
মরহুম ড. মুহম্মদ শেহাবুল-এর পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ‘The saints and shrines of Chittagong’-এর বাংলায় অনুবাদ করে গ্রন্থাকারে রচনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন নীপু। আরবি, ফারসি, উর্দুও ইংরেজি চার ভাষার পর এই থিসিসের বাংলা অনুবাদ নিয়ে এলো অন্বেষা প্রকাশন। বইটির আয়তন ২৪৭ পৃষ্ঠা।
মেয়র বলেন, এই বিপুল আয়তনের বই অনুবাদ করা চাট্টিখানি কথা নয়। সারা বিশ্বে ইসলামের নামে যে সহিংসতা চলছে, সেই সময় গবেষক শাহাব উদ্দিন নীপু খুবই সময় উপযোগী একটি সাহিত্যকর্ম সম্পাদনা করেছেন। ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণী উপলদ্ধিতে এই বই বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে অনন্য সংযোজন।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, ফরাসি বিভাগ ও সাহিত্য ভাষারঅধ্যাপক ড. মো আবুল হাশেম, দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি রাশেদ রউফ, প্রথমআলো’র উপ-বার্তা সম্পাদক ওমর কায়সার, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হক, ফলিত রসায়ান বিভাগের অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের আধুনিক ই-লার্নিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও জ্ঞান বাহনের প্রবর্তক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান অধ্যাপক ও গবেষক অধ্যাপক ড. বদরুল হুদা খান।
অনুষ্ঠানে সুফি সাহিত্য অনুরাগী দর্শক-শ্রোতা ও মরহুম ড. মুহাম্মদ শেহাবুল-এর সুহৃদ-শুভানুধ্যায়ীদের ভিড় ছিলো লক্ষ্যণীয়।