নাম তার শফিউল আজম (৪৫)। পেশায় নামধারী মুন্সি (সার্ভেয়ার)। তার মূল পেশা ভূমি অফিসে দালালি করা। দালালি করতে গিয়ে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডও ভোগ করেছেন মুন্সি। এরপর থেকে এখনো তিনি পলাতক।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে ৪৩টি নামজারি নথি, ৫৭টি নামজারি মামলার নথির মূলপ্রস্তাব ফর্মসহ বিপুল পরিমাণ নামজারি খতিয়ান, দাখিলা এবং ডিসিআর উদ্ধার করেছে।
আজম উপজেলার চারিয়া গ্রামের মো. আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
ইউএনও রুহুল আমিন জানান, ভূমি অফিসের তহসিলদার, অফিস সহকারীদের যোগসাজশে রেকর্ড রুমের গুরুত্বপূর্ণ নথি বাড়িতে নিয়ে মানুষকে হয়রানি করতেন আজম মুন্সি। স্থানীয়দের কাছে ভূমি অফিসের ‘দালাল’ নামেই পরিচিত ছিলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি আজম মুন্সিকে ভূমি অফিসের সামনে থেকে আটক করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারাভোগ শেষে গা ঢাকা দেন তিনি। তবে রেকর্ড রুমের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ তার বাড়িতেই রয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) অভিযান চালিয়ে এসব কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
রেকর্ড রুমের প্রতিটি কাগজ সরকারি সম্পদ। এসব কাগজ কার মাধ্যমে কীভাবে আজম মুন্সির হাতে গেলো তা খতিয়ে দেখা হবে। আজম মুন্সিসহ যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান ইউএনও।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে ভূমি অফিসের সামনে থেকে শফিউল আজমসহ মো. হারুন নামে আরেক দালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুজনকেই ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।