সীতাকুণ্ডে একটি কারখানার নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ায় হতাহতের গুজবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষ। ঘটনার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা গেট বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘসময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকেও ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি ভেতর থেকে বৈদ্যুতিক সুইচও অফ করে দেওয়া হয়। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্তৃপক্ষ গেট খুলে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কদমরসুলের কেশবপুর এলাকায় অবস্থিত ইনফেনিয়া নামক সুতা ও কাপড় তৈরির কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মো. আফজাল হোসেন ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ হারুন পাশা।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুনির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কদমরসুল কেশবপুরে ইনফেনিয়া কারখানার একটি ভবন ১০ তলায় উন্নীতকরণের কাজ চলছিল। রাত ১০টার দিকে বিকট শব্দে নির্মিতব্য অংশের ছাদ ভেঙে পড়ে। এ সময় সেখানে অনেক শ্রমিক রয়েছে বলে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সেখানে গেলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কাউকেই ভেতরে যেতে না দিয়ে বিদ্যুতের সুইচ অফ করে দেয়। ফলে বাইরে থাকা পুলিশ সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ডকে আটক করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয় কর্তৃপক্ষ।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আফজাল হোসেন জানান, কারখানাটিতে নির্মিতব্য একটি ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ায় হতাহতের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে কারখানা কর্তৃপক্ষ আতঙ্কিত হয়ে ভেতর থেকে গেট বন্ধ করে দেয়। এ সময় কারখানার কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ডকে আটক করে পুলিশ। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আটক সিকিউরিটি গার্ডদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।