প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরিয়ে সদ্য ক্ষমতায় বসা সেনাবাহিনীর জারি করা সান্ধ্য আইন অমান্য করে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতভর সড়কে বিক্ষোভ করে সুদানের মানুষ। দেশটির রাজধানী খার্তুমের সড়কগুলোতে এখনো বিপুল সংখ্যক আন্দোলনকারী অবস্থান করছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ সংবাদ দেওয়া হয়।
প্রায় তিন দশক ধরে দেশ শাসন করা প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে জনগণের বিক্ষোভের মুখে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে শাসনভার নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনী। পরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাতে সান্ধ্য আইন জারি করা হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সেনাবাহিনীর জারি করা কারফিউ প্রত্যাখ্যান করে রাজধানী খার্তুমের রাস্তায় অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। সেনাবাহিনীকে বশির শাসনামলেরই অংশ অ্যাখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়।
চলমান এ অচলাবস্থা বিক্ষোভকারী ও সেনাবাহিনীকে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
১৯৮৯ সালে ব্রিগেডিয়ার ওমর আল বশির আরও কিছু ইসলামপন্থি সেনা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সুদানের সর্বময় ক্ষমতা দখল করেন। তিনিই হচ্ছেন দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তাকে বেশ কয়েকবার উৎখাতের চেষ্টা হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি। গত ডিসেম্বর থেকে বশিরের বিরুদ্ধে জনতার বিক্ষোভ চলছিল। এ সময় সহিংসতায় বেশ কিছু লোক নিহত হয়।