তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চালু হওয়া ১৩ টন প্রথা শুধু চট্টগ্রামের জন্য নয়, সারাদেশের সব মহাসড়কের জন্য হওয়া উচিত।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় নগরের ওয়ার্ল্ড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে ২৭তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (সিআইটিএফ)-২০১৯ এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নদীর তলদেশে টানেল নির্মিত হচ্ছে। এদেশের জন্য এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মাণ চট্টগ্রাম চেম্বারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকায় না গিয়েই চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা যাতে কৃষিজাত পণ্যের আমদানির অনুমতি পান, সে ব্যবস্থা করতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বছর ৩ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। আমরা এখন চাল রপ্তানি করছি। বাংলাদেশে এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমরা এখন সাহায্য নিই না, বরং সাহায্য করে থাকি। দেশে ১০০টি ইকোনোমিক জোন হতে যাচ্ছে। এছাড়া জিডিপিতে শিল্প ও কৃষি খাতের অবদানও বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করে। দেশে যদি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ না থাকে তাহলে আমরা যে উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখি তা বাস্তবায়ন হবে না। তাই ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ সারা বছর অপেক্ষা করে কখন শুরু হবে বাণিজ্যমেলা। কিন্তু এ মেলা আয়োজন করতে আমাদের কোনো স্থায়ী ভেন্যু নেই। তাই বাণিজ্যমেলা আরো বৃহৎ পরিসরে আয়োজনের জন্য সরকারের কাছে স্থায়ী ভেন্যুর আবেদন জানিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য আকাশে পথে যোগাযোগব্যবস্থাকে আরো উন্নত করা দরকার। একইসঙ্গে এখানকার পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে পারলে চট্টগ্রাম তার হারিয়ে যাওয়ার ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, মেলা কমিটির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ জামাল আহমেদ, চেম্বার পরিচালক এ কে এম আকতার হোসেন, ছৈয়দ ছগীর আহমদ ও অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন।