কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘট পালন করছে আলীকদম লামা-ফাঁসিয়াখালী সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে এ রুটের সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সংগঠনের শ্রমিক ও নেতা-কর্মীরা।
খবর নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে আলীকদম সড়কে বিআরটিসি স্পেশাল বাস সার্ভিস চালু হাওয়ার প্রতিবাদে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ জনগণ। অবিলম্বে অঘোষিত এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে সড়ক পরিবহন চালু করার দাবি জানান তারা। আলীকদম থেকে চকরিয়া যাওয়ার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষমান কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আলীকদম থেকে চকরিয়া মাত্র ৪৪ কিলোমিটার পথ। দীর্ঘদিন যাবৎ সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে লামা ও আলীকদম উপজেলার জনগণ।
যাত্রীবাহী এসব পরিবহনগুলোতে যত্রতত্র গরু-ছাগল থেকে শুরু করে বাঁশ, কাঠ এমনকি লাকড়ি পর্যন্ত উঠানো হয়। বেশিরভাগ সময় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে ৪৪ কিলোমিটার এপথ পাড়ি দিতে।
অন্যদিকে, আলীকদমে বিআরটিসি বাস চালু হওয়ার খবরে স্বস্তি প্রকাশ করছে সাধারণ যাত্রীরা।
২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম হেফাজতুর রহমান চৌধুরী জয়নিউজকে জানান, আমরা দীর্ঘদিন মালিক সমিতির কাছে জিম্মি ছিলাম। এ রুটে বিআরটিসি বাস চালু হলে লামা ও আলীকদমের লোকজন এ জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাবে। এ উদ্যোগ বর্তমান সরকারের গ্রামকে শহর করার প্রয়াসকে একধাপ এগিয়ে নেবে বলে আমি মনে করি।
এবিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিমুল হায়দার জয়নিউজকে বলেন, মালিক সমিতি কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। চকরিয়া থেকে তারা কোনো গাড়ি আলীকদমে ঢুকতে দিচ্ছে না। আমরা বার বার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নাজিমুল হায়দার বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তেই আলীকদম থেকে চট্টগ্রাম সড়কে বিআরটিসি বাস চালু হচ্ছে। এবিষয় আমরা প্রশাসনিকভাবে চিঠি পেয়েছি। যেকোনো মুহুর্তে এই সার্ভিসটি আমরা উদ্বোধন করব।
মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টার করলে তারা ফোন রিসিভ করেনি।