পেকুয়ার উপকূলীয় মগনামার দুই পয়েন্টে বেড়িবাঁধ বিলীন হওয়ায় অন্তত ৩০ হাজার মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
জরুরিভিত্তিতে বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টে সংস্কার না হলে সামনের বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে পুরো ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপকূলবর্তী মগনামা ইউনিয়নের পশ্চিম অংশে কুতুবদিয়া চ্যানেল তীরবর্তী কাঁকপাড়া মাজার পয়েন্ট ও উত্তর মগনামা শরতঘোনা পয়েন্টে পৃথক দুটি স্থানে প্রায় ২০ চেইন বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিয়ন্ত্রিত এ বেড়িবাঁধ ৫ বছর যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে।
ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ জয়নিউজকে বলেন, কুতুবদিয়া চ্যানেলের প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে এ সব বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। বিলীন হওয়া অংশ দিয়ে সাগরের লোনা পানি একাধিকবার লোকালয়ে প্রবেশ করায় এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাউবো নিয়ন্ত্রিত বেড়িবাঁধ সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন করতে সরকার বরাদ্দ দেয়। এ জন্য প্রায় ৩শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মগনামায় পশ্চিম অংশে বেড়িবাঁধ সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। তবে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অংশে ২ বছরে সাড়ে ৫ কিলোমিটারে মাটি ভরাট কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অংশে মাটি ভরাট কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে সর্বাধিক ঝুঁকিতে আছে প্রায় ২০ চেইন বেড়িবাঁধ।
এ ইউনিয়নের সর্বদক্ষিণে কাঁকপাড়া মাজার পয়েন্টে প্রায় ৭ চেইন বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে এ পয়েন্টে পাউবোর বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ বিলীন হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম জয়নিউজকে জানান, ৩০ হাজার মানুষের জানমাল রক্ষায় দ্রুত সময়ে বেড়িবাঁধ অংশে মাটি ভরাট কাজ বাস্তবায়নের জোরালো দাবি জানানো হয়েছে সরকারের কাছে।
তিনি আরো জানান, টেকসই বাঁধ সংস্কারকাজ বাস্তবায়নে সরকার ৩শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও ঠিকাদারের গাফিলতিতে কাজ হচ্ছে না। মাটি ভরাটে অনিয়ম, ব্লক তৈরি ও লেবেলে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ব্যস্ত থাকায় সংস্কার থেমে আছে।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে ঠিকাদার আতিকুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মগনামায় শিডিউল অনুসরণ করে পাউবোর তদারকিতে কাজ হয়েছে। আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। বর্ষার আগে আপাতত মাঠি ভরাটের কাজ করা যায় কি-না চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মগনামার দায়িত্বে থাকা এসও জানান, ঠিকাদারের গাফিলতি সহ্য করা হবে না। বর্ষা মৌসুমের আগে অন্তত মাঠি ভরাটের কাজ করার জন্য বলা হয়েছে।