পেকুয়ায় লবণবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিণ মগনামা কাজীবাজার-কালারপাড়া সড়কে দেড় মাস ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
জানা গেছে, বিধ্বস্ত কালভার্ট জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর উদ্যোগ নেয়। চলতি অর্থবছরে এলজিইডি এর সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ দেয়। সড়কের পয়েন্টে আরসিসি কালভার্ট নির্মাণে কার্যাদেশ আহবান করে। হাকিম এন্ড ব্রাদার্স নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প বাস্তবায়নে কার্যাদেশ পায়।
সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটি কইড়াবাজার-কালারপাড়া সড়ক পয়েন্টে মাটি খনন শুরু করে। বিধ্বস্ত কালভার্ট সংস্কারে সড়কে গর্ত করে ড্রেন করা হয়েছে। অথচ কাজে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহেদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঠিকাদার কার্যাদেশ পেলেও সঠিক সময়ে কাজ বাস্তবায়নে গাফিলতি দেখাচ্ছে।
মগনামা কাজীবাজার এলাকার বাসিন্দা আতিক মাঝি, রহিমুল্লাহ, বাদশা মাঝি ও ছরওয়ার মাঝিসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, কালভার্ট বিকল হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমাদের উৎপাদিত লবণ এ সড়কপথে পরিবহন হয়। দেড় মাস ধরে লবণ বিক্রি বন্ধ থাকায় আমাদের অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে হয়েছে।
মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ছমি উদ্দিন, দশম শ্রেণীর ছাত্র মিনহাজ, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র সাকিবুল হাসান, সামিসহ শিক্ষার্থীরা জানায়, সড়কের মাঝখানে ড্রেন তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে বৃষ্টির সময় কাদায় সড়কটি পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। ওই সময় পায়ে হেঁটেও এপার থেকে ওপারে বিদ্যালয়ে যাওয়া খুব কঠিন ছিল। এখনো বিদ্যালয়ে যেতে প্রতিনিয়ত আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।
মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম জানান, ঠিকাদার মাটি খনন করে গর্ত করে রেখেছেন। অথচ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করেন, ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সাধারণ লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে।
এলজিইডির পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম চৌধুরী জানায়, আমি ঠিকাদারকে বলেছি দ্রুত কাজ শেষ করতে। চেয়ারম্যান বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে আমাকে অবহিত করেছেন। আমি অবশ্যই এ ব্যাপারটা দেখব।
জয়নিউজ/আরসি