ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের প্রথমার্ধেই দুই গোল পেলেন লিওনেল মেসি। দলের সেরা তারকার সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোলের দেখা পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপ কুতিনো। আর তাতেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইতিহাস গড়ে ১-০ গোলে জিতে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। ফিরতি লেগে নিজেদের ডেরায় আরো ভয়াবহ রূপে দেখা গেল ব্লুগ্রেনাদের। মেসির জোড়া গোলের সঙ্গে কুতিনো জালের দেখা পাওয়ায় বার্সা জয় পায় ৩-০ ব্যবধানে। আর তাতেই দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ ব্যবধানে শেষ চারের টিকিট পায় তারা।
ম্যাচের ১০ মিনিটে ম্যানইউ ডিফেন্ডার ফ্রেডের ভুলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় বার্সা। তার চ্যালেঞ্জে বক্সের মধ্যে ইভান রাকিতিচ পড়ে গেলে পেনাল্টি দেন রেফারি। তবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিতে সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়।
তবে এর চার মিনিট পরই জালের দেখা পায় স্বাগতিকরা। অ্যাশলে ইয়াং বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে ১৬ মিনিটে দারুণ এক গোল বার্সাকে এগিয়ে দেন মেসি। ক্রিস স্মলিংয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ডেভিড ডি গিয়াকে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
এ গোলের চার মিনিট পরই ফের পিছিয়ে পড়ে ম্যানইউ। ম্যাচের ২০ মিনিটে মেসির ডান পায়ের শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন ডি গিয়া। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া এই স্প্যানিশ গোলরক্ষকের হাতের নিচ দিয়ে বল জালে জড়ায়। ২০১০ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসি জোড়া গোল করেন বক্সের বাইরে থেকে। প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিকের জন্য চেষ্টা করে গেছেন মেসি। ২৬ ও ৩৬ মিনিটে তার শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর ম্যানইউ দ্বিতীয় গোলের সুযোগ তৈরি করে ৩৯ মিনিটে। তবে পগবার ওই শট সহজেই প্রতিহত করে দেন বার্সার গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
বিরতির পর বার্সার হয়ে গোলের দেখা পান কুতিনহো। ম্যাচের ৬১ মিনিটে জর্দি আলবার সহায়তায় চমৎকার গোল করেন কুতিনো। তিন গোল হজম করার পরও ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করে গেছে ম্যানইউ। যদিও পরিষ্কার সুযোগ তারা তৈরি করতে পারেনি। তেমন একটা চেষ্টা ছিল জেসি লিনগার্ডের, ৭৯ মিনিটে তার শট গোলবারের উপর দিয়ে যায়। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কেউ গোল না পেলে ৩-০ ব্যবধানে ম্যাচটি শেষ হয়।