গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নয়, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা হবে। তবে কী পদ্ধতিতে ভবনটি ভাঙা হবে, তা চূড়ান্ত হবে আগামী ২৫ এপ্রিল।
তিনি বলেছেন, ২৫ এপ্রিলের পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা হবে এবং তার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ওই স্থানটি সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, এই ভবন ভাঙার ক্ষেত্রে আগ্রহীদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়েছে। ২৪ এপ্রিলের মধ্যে আগ্রহীদেরকে তাদের প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে।
গার্মেন্টস কারখানা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রধান কার্যালয়টির নাম ‘বিজিএমইএ কমপ্লেক্স’। এটি বিজিএমইএ ভবন নামে পরিচিত। অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধাররা রাজউকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ি খালের মাঝখানে ১৫তলা ভবনটি নির্মাণ করেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা হলে আদালত বিজিএমইএ’র নিজ খরচে ভবনটি ভাঙার পক্ষে রায় দেন।
এদিকে ঢাকার উত্তরায় ১১০ কাঠা জমির ওপর ১৩তলা নতুন ভবন তৈরি করছে বিজিএমইএ; গত সপ্তাহে তা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।