বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে খুনের পর পালিয়ে যায় ফরহাদ (১৯)। বিষয়টি জানাতে সে ফোন করে মা ফাতেমা রহমান ময়নাকে। কিন্তু ছেলেকে কোন সাহায্য না করে উল্টো পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন মা।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মায়ের সহায়তায় কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ।
ফাতেমা রহমান ময়না ষোলশহর ৭নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ফাতেমা রহমানের ছেলে ফরহাদ তার বন্ধু শাহাদাত হোসেনকে (২২) ছুরিকাঘাতে খুনের দায়ে অভিযুক্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় পাঁচলাইশ হিলভিউ আবাসিক এলাকার এক নম্বর গলিতে এ খুনের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান জয়নিউজকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাহাদাতের প্রতিবেশী ফরহাদ তাকে ছুরিকাঘাত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, মায়ের সহায়তায় আসামি ফরহাদকে কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধারে অভিযান চলছে।
অভিযুক্ত ফরহাদের মা ফাতেমা রহমান জয়নিউজকে বলেন, আমার ছেলে তার বন্ধুকে খুন করেছে আমি জানতাম না। বিকেলে ফরহাদ আমাকে ফোন করে জানায়, সে শাহাদাতকে ছুরিকাঘাত করেছে। পরে সে চরপাথরঘাটা এলাকায় পালিয়ে যায়। আমি নিজেই সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি একজন দায়িত্ববান নাগরিক। আমার ছেলে খুন করেছে জেনেই আমি তাকে আইনের হাতে তুলে দিলাম। বাকিটা আইন দেখবে।
জয়নিউজ/রুবেল/জুলফিকার