স্বাধীনতার প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারীদের ক্ষমতায় এনেছেন জিয়াউর রহমান। গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ করে দিয়ে পুনর্বাসিত করেছিলেন তিনি। নগরের সার্কিট হাউসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিদেশি দূতাবাসে নিয়োগ দেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। ’৭২ এর সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রচলন করেন তিনি।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
এ সময় মন্ত্রী শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে স্মরণ করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে লড়াই তিনি শুরু করেছিলেন, সেই লড়াই এখন করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছেন তিনি।
এ সময় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে ‘ভ্যানগার্ড’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই কমিটি অতীতে শক্তি যুগিয়েছিল। আগামীতেও এগিয়ে যাওয়ার পথে সাহসী ভূমিকা রেখে স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও চেতনাকে সমুজ্জ্বল রাখবে।
সভায় নতুন কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক রেখা আলম চৌধুরীসহ সদস্য ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।