নগরের বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার একটি বাসা থেকে দিলুয়ারা বেগম মুক্তা (৩৪) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার এটিকে হত্যাকাণ্ড বললেও পুলিশের হাতে আটক গৃহবধূর স্বামী মো. সাইফুল ইসলামের (৪২) দাবি তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বায়েজিদ চাইলদ্দ্যাতলী বোর্ড অফিস এলাকার একটি বাড়ি থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত মুক্তা মুরাদপুর এলাকার শহীদ জানে আলম সড়কের বাসিন্দা মো. আমিরের মেয়ে। তার স্বামী সাইফুল নগরের একটি বায়িং হাউসে কাজ করতেন।
নিহতের ছোট ভাই মো. সোহেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে জয়নিউজকে বলেন, ২০১০ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মুক্তা ও সাইফুলের। বিয়ের আট মাসের মাথায় যৌতুক চেয়ে শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতন সইতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে আসে মুক্তা। পরে
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সাইফুলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দুইপক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে তিন বছর পর আবার সংসার শুরু করে মুক্তা-সাইফুল। তাদের ঘরে একটি মেয়েরও জন্ম হয়। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও থামেনি নির্যাতন।
সোহেল আরো বলেন, বোনের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে নির্যাতন করত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতেও তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে আমাদের ফোন করে জানিয়েছিল। সকালে খবর পাই আমার বোন মারা গেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে নিহতের বাবা মো. আমির বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বায়োজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার জয়নিউজকে বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা হত্যা মামলা নিয়েছি এবং স্বামীকে আটক করেছি। নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরিবার দাবি করছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে বিস্তারিত বলা যাবে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি।
জয়নিউজ/পার্থ/এমজেএইচ