হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়া ত্রিপুরা পল্লীতে অজ্ঞাত রোগে ছয় দিনে একই পরিবারের তিন জনসহ চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত আরো ২৮ জন শিশু। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এমতাবস্থায় অনেকটা নিজ উদ্যেগে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম ত্রিপুরাপল্লীর বায়ান্ন পরিবারের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করিয়ে দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জয়নিউজকে জানিয়েছেন এম এ সালাম।
এসময় তিনি আরো বলেন, অজ্ঞাত রোগে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে, ব্যাপারটা দুঃখজনক। তাই আমি আমার নিজ উদ্যেগে ত্রিপুরা পল্লীতে গভীর নলকূপ স্থাপন করার ব্যবস্থা করেছি।
প্রসঙ্গত ২১ আগস্ট অন্ন রায় ত্রিপুরা (৫), কিশামনি ত্রিপুরা (৩) এবং ২৪ অগাস্ট সৌম্য রায় ত্রিপুরা (৪) মারা যায়। পরবর্তীতে ২৬ আগস্ট মারা যায় অন্ন ত্রিপুরা (৮)। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শনে যান এবং ২৮ শিশুকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করান।
ইতিমধ্যে প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত শিশুদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, হামে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ি ত্রিপুরা পল্লীতে ‘অজ্ঞাত রোগে’ আক্রান্ত হয়ে নয় শিশু মারা গিয়েছিল। এছাড়া পরবর্তীতে ওই রোগে আক্রান্ত আরও অর্ধশতাধিক শিশু চট্টগ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল।
তাদের শরীরের লক্ষণগুলোও হাটহাজারীতে আক্রান্ত শিশুদের মতোই ছিল।