রামু সরকারি কলেজের ছাত্রী জমিলা আক্তার টুম্পার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় কক্সবাজার পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র মোঃ নুরুল আফছারের। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। এরপর গত এক বছর ধরে প্রেমিক-প্রেমিকা সেজে টেকনাফ থেকে ঢাকায় ইয়াবা পাচার করে আসছিল তারা। ইয়াবাগুলো ঢাকায় পৌঁছে দিলে তারা দু’জন নগদ দশ হাজার টাকা করে পেত।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ দুই প্রেমিক যুগলকে আটকের পর বেরিয়ে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই হাজার পিস ইয়াবা।
আটককৃতরা হলো কক্সবাজারের গর্জনিয়া গ্রামের শফিউল আলমের মেয়ে জামিলা আক্তার টুম্পা (২১), তার প্রেমিক একই এলাকার দক্ষিণ বাংলা বাজার নয়াপাড়া গ্রামের মো. সাহাবুদ্দিনের ছেলে নুরুল আফছার (২১), টুম্পার বান্ধবী কেনাফ থানার মিনা বাজার (নূর কবির মেম্বার বাড়ির পাশে) গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের মেয়ে সালমা আক্তার (২০) ও তার প্রেমিক একই এলাকার মোঃ ফরিদুল আলমের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৮)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল ১১টার দিকে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি দল সীতাকুণ্ডের শীতলপুর আমেরিকান-এর বাড়ির সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসায়।
এসময় ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকামেট্টো-ব-১৫-১২৬৪) তল্লাশি চালিয়ে দুই নারীসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ তাদের কাছ থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব জয়নিউজকে বলেন, ইয়াবাসহ আটক জামিলা আক্তার টুম্পা ও নুরুল আফছার প্রেমিক-প্রেমিকা। জামিলা রামু কলেজে ও নুরুল টেকনিক্যাল কলেজে পড়ে। আটক অপর প্রেমিক যুগলও তাদের বন্ধু। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দীর্ঘ এক বছর ধরে তারা টেকনাফ থেকে ঢাকায় ইয়াবা পাচার করত। ঢাকায় ইয়াবা পৌঁছে দিলে তারা প্রত্যেকে পেত দশ হাজার টাকা করে।
আটক চারজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, নুরুল আফছার আগে থেকে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। জামিলার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ার পর তাকেও এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলে সে। আবার জামিলা তার বান্ধবী সালমা আক্তারকে জড়ায় এ ব্যবসায়। পরবর্তীতে সালমার প্রেমিক জাহাঙ্গীরও এতে জড়িয়ে পড়ে।
জয়নিউজ/জুলফিকার