অভিজাত এলাকায় অফিস খুলে ১৫০ জনের কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিন যুবক। কথা ছিল ভিসা হবে, নিয়ে যাবেন আমেরিকা-কানাডার মতো দেশে। তারপর একদিন সুযোগ বুঝে অফিসের পাততাড়ি গুটিয়ে উধাও হয়ে যান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের জালে আটকা পড়েছেন ওই তিন যুবক। বেরিয়ে এসেছে অনেক অজানা তথ্য। বিস্তারিত জানাচ্ছেন জয়নিউজের নিজস্ব প্রতিবেদক কাউছার খান
পিরোজপুরের দুই সহোদর মুন্না-রফিক। অভিনব এক কৌশলে শুরু করেন লোক ঠকানো। তাদের সঙ্গে ছিলেন বাগেরহাটের সুমন।
অভিজাত এলাকায় অফিস খুলে বসেন তারা। পত্রিকায় দেন বিজ্ঞাপন। সেই বিজ্ঞাপনে থাকত আমেরিকা ও কানাডার ভিসা দিয়ে সেদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন।
বিজ্ঞাপনের সেই ভাষায় বেকার তরুণ-যুবকরা প্রভাবিত হতেন সহজেই। সেই সুযোগে তারা হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা।
দেশের বিভিন্ন জেলায় এভাবে ঘুরে ঘুরে ‘গ্লোবাল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাডুকেশন সেন্টার’ নামে অফিস খুলে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন এই তিন যুবক।
কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ আল মদিনা টাওয়ারে “ফরচুন গ্লোবাল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাডুকেশন” নাম দিয়ে তারা অফিস খুলে বসেন।
গ্রাহকদের কাছ টাকা তোলাও শুরু করেন। এরপর একদিন সুযোগ বুঝে ১৫০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান তারা।
তবে ক্ষতিগ্রস্তরা চুপ করে বসে থাকেননি। তারা ওই তিন প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ডবলমুরিং থানায়। সেই মামলার সূত্র ধরে ওই তিন যুবককে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-বন্দর) এস এম মোস্তাইন হোসেন জয়নিউজকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত অনিক ইসলাম মুন্না (৩৪) ও রফিকুজ্জামান (২৭) পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের রঘুনাথপুর এলাকার রউফ খানের ছেলে এবং খন্দকার আবুল হাসান সুমন (৩২) বাগেরহাট জেলার কলাবাড়িয়া এলাকার খন্দকার আব্দুল মুহিতের ছেলে।
মোস্তাইন হোসাইন আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় একটি, খুলনা সদর থানায় একটি, পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানায় একটি ও ঢাকার বনানী থানায় একটি মামলা আছে।
তিনি বলেন, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ভুয়া পাসপোর্ট ও ব্যাংক অ্যকাউন্টে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে তারা এসব প্রতারণা করে আসছিল।