সময় বিকাল ৩টা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪৭তম সাধারণ সভা শেষে নিজ কার্যালয়ে ঢুকলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। কার্যালয়ে একে একে প্রবেশ করতে লাগলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একেকজনের একেক সমস্যা। দম ফেলার ফুরসত নেই মেয়রের।
জনাকীর্ণ সিটি করপোরেশন। মেয়র একদিকে অফিসিয়াল কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন, অন্যদিকে তাঁর সঙ্গে যারা দেখা করতে এসেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। যন্ত্র না হলেও যন্ত্রের মতো সব কাজ করে যাচ্ছেন নির্ভুলভাবে।
প্রথম দেখায় যে কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এত মানুষ কেন? আমারও প্রশ্ন ছিল এত মানুষ কেন! ভেতরে গিয়ে উত্তর পেয়ে গেলাম। চট্টগ্রামের ৭০ লাখ মানুষের অভিভাবক যিনি, তাঁর কাছেইতো মানুষ আসবে।
বাকলিয়ার মিয়াখান এলাকা থেকে ২০ জন এসেছেন মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে। তাদের একজনের সঙ্গে কথা হয় জয়নিউজের। তিনি বলেন, ‘মিয়াখান নগর এলাকার একটি সড়কের বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।’
মেয়র সব শুনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন। এতে খুশি সকলেই। তাদের একজন শফিকুল ইসলাম। সন্তুষ্ট হয়ে তিনি বললেন, ‘মেয়র মহোদয়ের জয় হোক। এ ধরনের জনদরদি মানুষই জনগণের সেবক হিসেবে থাকুক আজীবন।’
শুধু সড়কের বিষয়ে নয়, কেউ এসেছেন মেয়ের বিয়ের সাহায্যের জন্য, আবার কেউ এসেছেন থানার পুলিশের কাছে গিয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে, কেউবা এসেছেন চাকরির আবেদন নিয়ে। মেয়র প্রত্যেকের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং সমস্যার সমাধান করেছেন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য মান্নান ফেরদৌস জয়নিউজকে বলেন, ‘মেয়র মহোদয় এমন একজন ব্যক্তি, যাঁর মধ্যে কোনো ক্লান্তি দেখি না। মানুষের জন্য কাজ করতে পারলেই তাঁর মধ্যে তৃপ্তি দেখা যায়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি মানুষের সেবা দিয়ে থাকেন। কারণ নগরের ৭০ লাখ মানুষের অভিভাবক তিনি। যা অতীতে কোনো মেয়রের কাছ থেকে জনগণ পায়নি।’
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে জয়নিউজের প্রশ্ন ছিল, কিভাবে সব কাজ ক্লান্তিহীনভাবে করেন।
প্রশ্ন শুনে মেয়র হেসে বললেন, ‘আমার কাজইতো জনগণের সেবা করা। মানুষ যে কোনো প্রয়োজনে আমার কাছে ছুটে আসে। আমি চেষ্টা করি তাদের কথা শুনে সমস্যা সমাধানের। এতে ক্লান্তির কিছু নেই। আমি রাজনীতি করি জনসেবার দায়বদ্ধতা থেকে।’