ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে ওয়াসার পানিতে তৈরি শরবত খাওয়াতে আসা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের ওয়াসা ভবনে ঢুকতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা ওয়াসা ভবনের ঠিক বিপরীতে অবস্থান নেয় রাজধানীর জুরাইন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। তারা জুরাইন এলাকার পানি দিয়ে শরবত বানিয়ে ওয়াসার এমডিকে খাওয়াতে চান। এ সময় আশপাশে উৎসুক মানুষের জটলা তৈরি হয়।
ঢাকা ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়- ২০ এপ্রিল ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানায় জুরাইনবাসী। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় তারা কারওয়ানবাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ওয়াসার পানিতে শরবত বানিয়ে খাওয়াতে এমডি কার্যালয়ে না আসা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করার কথা জানায় তারা।
গত ১৭ এপ্রিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে জানায়, ঢাকা ওয়াসার ৯১ শতাংশ গ্রাহকই পানি ফুটিয়ে পান করেন। বাসাবাড়িতে ৩৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩৭ হাজার ঘনমিটার গ্যাস পুড়ছে পানি বিশুদ্ধকরণে। আর এ কারণে বছরে জ্বালানি বাবদ ব্যয় হচ্ছে ৩৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের আওতাধীন আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বস্তি এলাকার পানি ও পয়ঃসংযোগ এ গবেষণার আওতায় পড়ে। গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে এই গবেষণা চালানো হয়।
তবে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ২০ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান। সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয় এবং নিরাপদ।