বে টার্মিনাল ইয়ার্ড নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো কাস্টমস কার্যক্রম হবে না। তখন বে টার্মিনাল থেকেই পরিচালিত হবে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ পিএসসি একথা বলেন।
জুলফিকার আজিজ বলেন, বর্তমান বৈদেশিক বাণিজ্যের সিংহভাগ সামাল দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। বর্তমানে কনটেইনারবাহী জাহাজ বহির্নোঙরে আসার এক থেকে দুই দিনের মধ্যে জেটিতে ভিড়ছে। এছাড়া একদিন অপেক্ষা না করে জাহাজ সরাসরি জেটিতে ভিড়ার রেকর্ডও হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরে তিনি জানান, কনটেইনার উঠানামার রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। ২০১৭ সালে যেখানে কনটেইনার উঠানামা হয়েছিল ২৬ লাখ ৬৭ হাজার টিইইউস। সেখানে ২০১৮ সালে হয়েছে ২৯ লাখ ৩ হাজার টিইইউস। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ শতাংশ। সাধারণ কার্গো উঠানামা হয়েছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ মেট্রিকটন। এর মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি আয় হয়েছে ১৩ শতাংশ। নতুন করে ৩৭ একর জায়গায় ওপর ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড যুক্ত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে বন্দরের ইয়ার্ডে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রাখা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, বে টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হলে বন্দরের বর্তমান সক্ষমতা বেড়ে যাবে ৩ গুণ। বে টার্মিনালে বেশি গভীরতা ও বেশি দৈঘ্যের জাহাজ দিনরাত ভিড়ানোর সুযোগ থাকবে। ২০১৮ সালে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে ৬০টির অধিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করেছে বন্দর। এছাড়া ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে রেল মাউন্টেড গ্যান্ট্রি ক্রেন কিনেছে। বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে পণ্য লাইটার করে খালাস করতে কর্ণফুলী নদীর তীরে সদরঘাটে নির্মাণ করা হয়েছে ৫ টি লাইটারেজ জেটি। এছাড়া আরো ১৫ টি লাইটার জেটি নির্মাণ।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর খন্দকার আক্তার হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, সচিব মো. ওমর ফারুক, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল তানভীর আহাম্মদ জায়গীরদার ও উপ-সচিব (জনসংযোগ) মোহাম্মদ আজিজুল মওলা।