কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনার রাইখালী জুমিয়া পুনর্বাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রাইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক না থাকায় মুসলিম শিক্ষার্থীরা ধর্মশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম ধর্মের শিক্ষকের অভাব থাকলেও সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে কোনো তৎপরতা নেই বলে জানান স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জুমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ’ জন। এরমধ্যে মুসলিম শিক্ষার্থী প্রায় ৫০ জন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই। ধর্মশিক্ষক না থাকায় মুসলিম শিক্ষার্থীরা ধর্মশিক্ষা হতে বঞ্চিত রয়েছে।
ইসলাম ধর্মের শিক্ষক না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল খায়ের।
তিনি জানান, এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে এবং সহসাই বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
একই দৃশ্য রাইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। এখানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিক। এরমধ্যে অর্ধেক শিক্ষার্থীই মুসলিম। কিন্তু এ বিদ্যালয়েও দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক না থাকায় মুসলিম শিক্ষার্থীরা ধর্মশিক্ষা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পাইচউ মারমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইসলাম ধর্মের শিক্ষক না থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমরা সহসাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে জানাব।
এ ব্যাপারে রাইখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ইউছুফ তালুকদারের দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় দু’টিতে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নেই। এতে মুসলিম শিক্ষার্থীরা ধর্মশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা উচিত।