গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, তাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, গুগল অনেক মানুষের কাছ থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছে।
এর আগে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছিলেন, গুগলে ট্রাম্প নিউজ লিখে সার্চ করলে যেসব রেজাল্ট দেখায় সেগুলো শুধু ‘ফেক নিউজ মিডিয়া’র। অন্যভাবে বলা যায়, তারা আমার ও অন্যদের ক্ষেত্রে সাজানো ফল দেখায়। এতে প্রায় সব গল্প ও সংবাদই নেতিবাচক।
তিনি আরও বলেন, ‘ফেক সিএনএন’ বিখ্যাত। রিপাবলিকান/কনজারভেটিভ ও নিরপেক্ষ মিডিয়ার পথ রুদ্ধ। ‘ট্রাম্প নিউজ’ লিখলে যেসব রেজাল্ট দেখানো হয় এর ৯৬ শতাংশই বামপন্থী মিডিয়ার। গুগল এবং অন্যরা কনজারভেটিভদের কণ্ঠ রোধ করছে। তারা ভালো তথ্য ও সংবাদ গোপন করছে। আমরা কী দেখতে পারবো আর কী দেখতে পারবো না সেটা তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।
জবাবে গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা কোনোরকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোনও কাজ করছে না। আর কোনোরকম রাজনৈতিক মতাদর্শে তারা পক্ষপাতদুষ্ট নয়।
এরপর ফেসবুক ও টুইটারের ওপরও চড়াও হন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাদের সাবধান থাকা উচিত। কারণ জনগণের সঙ্গে আপনারা এমন করতে পারেন না। ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে গুগল থেকে বলা হয়,আমাদের কাছে আক্ষরিক অর্থেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ আসছে।
তবে এই ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কি ধরণের নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে সেই সম্পর্কে কোনও আভাস দেননি তিনি।
টুইটার ও ফেসবুক থেকে এখনও সরাসরি কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
গুগলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরামর্শক ল্যারি কুডলো বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন খতিয়ে দেখছে যে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কী না। এ বিষয়ে তারা তদন্ত করবেন।