বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভি ও দৈনিক জাগ্রত বাংলা পত্রিকার পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদী হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নিহতের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় শিল্পপতি আবুল হোসেন, তার ছেলে রাজিব ও রাজিবের সহকারী মিলনসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনকে (৬০) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস (ইউনানী) ও শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নিহত নদীর ২য় স্বামী রাজিবের বাবা।
নিহত নদীর স্বজনরা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে গ্রেফতার আবুল হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেনের সঙ্গে সুবর্ণা আক্তার নদীর বিয়ে হয়। বিয়ের বিষয়টি আবুল হোসেনের পরিবার মেনে না নেয়ায় এক পর্যায়ে রাজিব নদীকে তালাক দেয়। এ ঘটনায় নদী আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারধীন রয়েছে।
এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুবর্ণা আক্তার নদী শহর থেকে কাজ শেষে রাধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুল সংলগ্ন বাসার সামনে পৌঁছামাত্র ওঁৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।