বাঁশখালীতে রুমা আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীকে খুনের পর জিনে মেরেছে প্রচার করে লাশ দাফন করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, তৌহিদ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের একপর্যায়ে রুমা গর্ভবতী হয়ে পড়ায় তাকে খুন করা হয়।
কিশোরীর বাবা নুরুল আমিন লাশ দাফনের ১৯ দিন পর শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৭ জনকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। রোববার (২৮ এপ্রিল) বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
থানায় দেওয়া এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে রুমা আক্তারকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন প্রতিবেশী মৃত বজল আহমদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম। বিয়ের প্রলোভনে তৌহিদুল রুমা আক্তারের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করে। একপর্যায়ে গর্ভবতী হয় রুমা।
এরমধ্যেই গত ৬ এপ্রিল নগরের এক হোটেলে প্রতিবেশী আরেক যুবতীর সঙ্গে হাতে-নাতে ধরা পড়ে তৌহিদুল ইসলাম। এ খবর মেয়েটির আত্মীয়স্বজন জানতে পেরে জোরপূর্বক ওই যুবতীকে তৌহিদুলের সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দেয়। ওই মেয়ের সঙ্গে বিয়ের খবর শোনার পর রুমা আক্তার তৌহিদুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। এরপর গত ৯ এপ্রিল রুমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
রুমা আক্তারের বাবা নুরুল আমিন অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে রুমার কখনও অসুখ ছিল না। তৌহিদুল ও তৌহিদুলের পরিবার আমার মেয়েকে হত্যা করে জিনে মেরেছে বলে প্রচার করে তার লাশ দাফন করেছে। আমরা অশিক্ষিত মানুষ এসব বুঝি না। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বাদশা জয়নিউজকে বলেন, রুমার বাবা অশিক্ষিত মানুষ। তাই তাকে ভুল বুঝিয়ে রুমাকে হত্যার পর খুনিরা কৌশলে লাশ দাফন করেছে। বিয়ের প্রলোভনে অবৈধ মেলামেশার পর গর্ভবতী হওয়ায় রুমাকে হত্যা করা হয়েছে। খুনিরা এখন পলাতক।
বাঁশখালী থানার এসআই মো. হাবিবুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, রুমার বাবা থানায় এজাহার দেওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করেছি। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর রুমাকে হত্যা করা হয়েছে কি-না তা জানা যাবে। হত্যা করা হয়েছে কি-না, এখন বলতে পারছি না।