প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ অথবা শনিবার (৪ মে) সকালে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
ফণীর আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দেশের ১৯টি উপকূলীয় জেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডি), ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণকক্ষ খুলেছে। মন্ত্রণালয়ের বিশেষ রেডিওর পক্ষ থেকে বার্তা যাচ্ছে।
দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৫টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সভা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফণির বৃষ্টি শুরু
প্রসঙ্গত, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরো ঘনীভূত হয়ে সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এজন্য মংলা ও পায়রা বন্দরকে ৪নং স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭নং বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর ৪নং স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতের আওতায় থাকবে।