কক্সবাজারের মহেশখালীতে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে সাগরের পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে ধলঘাটার পাঁচ গ্রাম।
শনিবার (৪ মে) সকালে জোয়ারের অস্বাভাবিক পানি ঢুকে তলিয়ে যায় গ্রামগুলো। এতে ওই এলাকার ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়ে পানি। তলিয়ে যায় লবণমাঠ। এতে কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে ।
এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার আতিকুল ইসলামকে দায়ী করেছেন ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান।
অপরদিকে মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাট ও ষাইড পাড়ায় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ফণীর প্রভাবে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বেশ কটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের ওই অংশ দিয়ে অনায়াসে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে সাগরের পানি। উত্তর সুতুরিয়া, পানির ছড়া, নাছির মোহাম্মদ ডেইল, সিকদার পাড়া ও বনজামিরা ঘোনা গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে। এর আশেপাশের এলাকায়ও পানি ঢুকে পড়ে। পানিতে তলিয়ে ওইসব গ্রামের ঘরবাড়ি ও লবণমাঠের ক্ষতি হয়েছে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. উল্লাহ বলেন, স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারান। এরপর দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও চারপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহেশখালী –কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক জয়নিউজকে বলেন, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটার বেড়িবাধঁটি সংস্কার কাজে কোনো প্রকার অনিয়ম সহ্য করা হবে না। দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।