রাজধানী ঢাকার পর চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। সেই চট্টগ্রামে রয়েছে দেশের সকল মিডিয়া হাউসের উজ্জ্বল উপস্থিতি। যেখানে কাজ করছে শত শত সাংবাদিক। ফারুক ইকবাল চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক। সম্প্রতি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের মানোন্নয়নে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি লিখেন, ”সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে চট্টগ্রামে পিআইবি’র পূর্ণাঙ্গ শাখা অফিস চাই। এ ব্যাপারে, মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ চৌধুরী এবং পিআইবির নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ও বরেণ্য সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ জনস্বার্থে বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন।”
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। পিআইবির কাজ মূলত সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও উন্নয়ন যোগাযোগ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রকাশনা নিয়ে। একটি ধারণা হিসেবে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের জন্ম ১৯৭৪ সালে।
ফারুক ইকবাল প্রস্তাব করেন, ”আপনাদের প্রতি নিবেদন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজের পেশাগত উৎকর্ষ সাধন এবং সেইসঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার চর্চা ও অনুশীলনের পথ প্রশস্তকরণে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পিআইবির একটি পূর্ণাঙ্গ শাখা অফিস স্হাপনের উদ্যোগ নেবেন, যা এখন বাস্তবিক অর্থে খুবই জরুরি এবং সময়ের দাবিও বটে।
আশাকরি, চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় এখানে একটি প্রশিক্ষিত সাংবাদিক কমিউনিটি গড়ে তুলতে আমাদের বর্তমান জনকল্যাণমুখী সরকার এ প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্ব ও আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবেন।”
প্রসঙ্গত, পিআইবির চেয়ারম্যান পদে সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছেন দৈনিক জাগরণ সম্পাদক আবেদ খান এবং কবি ও সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ যুক্ত হয়েছেন পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে। পিআইবির কাজ দেশে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে সার্টিফিকেট প্রদান, সাংবাদিকতা বিষয়ে সার্টিফিকেট, ডিপ্লোমা ও অন্য কোনো ডিগ্রি কোর্স পরিচালনা এবং সনদ প্রদান। এছাড়াও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য কোনো ব্যক্তিকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান ইত্যাদি।
ফারুক ইকবালের ক্যারিয়ার শুরু চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা পূর্বকোণ দিয়ে। এরপর নতুন ধারার ভোরের কাগজ, তারপর দেশের প্রথম অনলাইন সংবাদ পোর্টাল বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম, তারপর যায়যায়দিনের ব্যুরো চিফ এবং কালের কণ্ঠ এবং বাংলাদেশের খবর পত্রিকা ঘুরে এখন থিতু হয়েছেন দেশ রূপান্তর পত্রিকার চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান হিসেবে।