বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মকরত ছয় চিকিৎসককে শোকজ (কারণ দর্শানোও) নোটিস দিয়েছে।
তাদের বৃহস্পতিবারের (৯ মে) মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ৬ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পার্সোনাল অধিশাখার উপ-সচিব শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে এ শোকজের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে জানানো হয়েছে জাতীয় সংসদের সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে ২৮ এপ্রিল ফেসবুকে পৃথক পৃথক পোস্ট করেন ছয় চিকিৎসক। যা সরকারি চাকরি বিধিমমালা অনুযায়ী শোভন হয়নি। শুধু তাই নয় মাশরাফিকে বেয়াদব আর অশিক্ষিত গোঁয়াত্তে মাস্তান ও হাফলেডিস সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ হিসেবে গণ্য। তাই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) মোতাবেক অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে কেন ওই বিধিমালার অধীনে যথাপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না তা এ নোটিস প্রাপ্তির ৩ (তিন) কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
অভিযুক্ত ছয় চিকিৎসক হলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেমাটো অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম রেজাউল করিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকসের রেজিস্ট্রার ডা. আইরিন আফরোজ, নওগাঁ জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা জলিল জুলি ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদী হাসান।