বর্তমানে প্রেক্ষাপটে আমাদের বাংলাদেশের চাকরিজটে জর্জরিত আমাদের তরুণদের জীবন। বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করার পর আমাদের চাকরির জন্য যে সময়টুকু ব্যয় হয়, তা আমাদের কর্মক্ষম সময় থেকে দুই-তিন বছর অনায়াসে অপচয় হয়। সেই এই তরুণদের সময়টুকু নিজেদের পেশাদারিত্বের দক্ষতায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ হতে পারে অনবদ্য সংস্করণ। আর সেই সুযোগ করে দিচ্ছে, জাপান সরকার। বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে ‘মনোবসু’ বৃত্তির জন্য আবেদন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, চলবে ২২ মে পর্যন্ত।
জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে অধ্যয়নরত বাঙালি শিক্ষার্থী এস এম নাদিম মাহমুদ জয়নিউজকে জানান, বাঙালি শিক্ষার্থী যাদের জন্ম ১৯৮৫ সালের পরে তারা, জাপানে পিএইচডি, মাস্টার্স করার জন্য ‘রিসার্স স্টুডেন্ট হিসেবে’ আবেদন করতে পারবেন। আর যাদের জন্ম, ১৯৯৫ সালের পর তারা জাপানে গিয়ে স্নাতক ও ক্যারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মতো ছোট একটি উন্নয়নশীল দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষিত জনগোষ্ঠির খুবই প্রয়োজন। যে বাড়ি থেকে আজ ছেলেটা বা মেয়েটা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়ে বাইরে পড়াশোনার জন্য আসছে, নিশ্চয়ই এটা এক ধরনের বড় ধরনের পরিবর্তন। এটা শুধু তার পরিবারের নয়, সমাজ, রাষ্ট্রেরও পরিবর্তন। জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন। সভ্য-রুচিশীল মানবিক গুণাবলীর বিকাশেও উচ্চশিক্ষা হতে পারে উন্নয়নের চাকা।
আমাদের দেশ থেকে একটি বড় জনগোষ্ঠী মধ্যপাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে শ্রমিক হিসেবে যাচ্ছে। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতির চাকাকে করছে সচল। আমরা শ্রমিক পাঠানোর দেশ নই। আমাদের মেধা আছে, আমরা সেই মেধা দিয়ে পৃথিবীর সর্বত্র জয় করতে পারি। তাই আমি বিশ্বাস করি, যেসব ছেলেমেয়েরা চাকরির পেছনে বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছে, তাদের জন্য উচ্চশিক্ষা জীবন গড়ার সোপান হতে পারে। তাই, নতুন করে লক্ষ্য স্থির করুন। আজ থেকে শুরু করুন উচ্চশিক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি।