বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার আকাশবীণার উদ্বোধন হচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর। ওইদিন দুপুর ১২টায় আকাশবীণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনের রাতে ঢাকা-কুয়ালালামপুরে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট দিয়ে যাত্রা শুরু করবে ড্রিমলাইনার। ইতোমধ্যে তার পরীক্ষামূলক ফ্লাইট সম্পন্ন হয়েছে। গত বুধবার (২৯ আগস্ট) ড্রিমলাইনারটি পরীক্ষামূলকভাবে শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ এ প্রসঙ্গে বলেন, সফলভাবে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। ট্যাক্স ও চার্জ বাদে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ২০০ মার্কিন ডলার এবং ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ২৯০ মার্কিন ডলার।
টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনার আকাশবীণা চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগবে। এর আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। প্রতিটি আসনের সামনে প্যানাসনিকের এলইডি এস-মনিটর রয়েছে। একইসাথে ড্রিমলাইনারের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমে (আইএফই) থাকবে ১০০টির বেশি ক্ল্যাসিক থেকে ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র।
অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।
বিমানে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক যাত্রী ১৫ মিনিটের জন্য বিনামূল্যে ১০ মেগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এরপরও কোনো যাত্রী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে চার্জ দিতে হবে। এছাড়া মোবাইল ফোনে রোমিং সুবিধা থাকলে আকাশে উড্ডয়নের সময় কল করতে পারবেন যাত্রীরা।
জয়নিউজ/আরসি