আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যে শুল্ককর বাড়ানোর মাধ্যমে ধূমপায়ী ও তামাকসেবীর সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে সিগারেটের দাম সর্বনিম্ন ৯ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে সম্প্রতি লেখা এক চিঠিতে এ প্রস্তাব দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
চিঠিতে বাজেটকে সামনে রেখে সিগারেটসহ সবধরনের তামাকজাত পণ্যের ওপর বিদ্যমান করকাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে বাজারে চলমান প্রতিটি কম দামের সিগারেটে কমপক্ষে চার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। একই সঙ্গে বেনসন ও গোল্ডলিফসহ সমমানের ব্র্যান্ডের প্রতিটি সিগারেটের দাম বাড়বে অতিরিক্ত আট টাকা।
বর্তমানে বাজারে প্রতি সিগারেটের সর্বনিম্ন দাম পাঁচ টাকা ও উচ্চস্তরে প্রতি সিগারেট ১২ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে এক শলাকা বেনসনের দাম ২০ টাকা এবং গোল্ডলিফের দাম ১৬ টাকা হতে পারে।
চিঠিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর আরোপের ক্ষেত্রে এসব প্রস্তাব বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশে গড়তে তামাকের করকাঠামো পরিবর্তন করে বিশেষ করে সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে দুটি করার পাশাপাশি ১০ শলাকা সিগারেটের ওপর সুনির্দিষ্ট অতিরিক্ত পাঁচ টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন।
এই প্রস্তাবে বিড়ির ক্ষেত্রে মূল্য বিভাজন তুলে দিয়ে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৮ টাকা করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং চার টাকা ৮০ পয়সা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ক্ষেত্রে প্রস্তাবে ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্ত করে সিগারেট ও বিড়ির মতোই খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ, প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার মূল্য ৩৫ টাকা এবং গুলের দাম ২০ টাকা করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া জর্দার ওপর পাঁচ টাকা এবং গুলের ওপর তিন টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্প আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।