বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে ও ক্রেতা সেজে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শীর্ষ মোটরসাইকেল চোর মো. ইলিয়াছকে (২৮) আটক করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ।।
ইলিয়াছ চন্দনাইশের বরমার কেসুয়া গ্রামের মৃত মো.আযম খানের ছেলে। পেশায় তিনি মোটর সাইকেল মেকানিক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৭ এপ্রিল বাঁশখালীর পূর্ব চাম্বলের শাহ আলমের ছেলে মোবারক আলীর একটি ডিসকভার ১০০ মোটর সাইকেল চুরি হয়। ওই তারিখে মোবারক আলী অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই সূত্র ধরে মাঠে নামেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো. কামাল উদ্দিন।
তিনি চন্দনাইশের মোটর মেকানিক মো. ইলিয়াছের মাধ্যমে কয়েকটি মোটরসাইকেল বিক্রির খবর পান। ওই সূত্র ধরে মো. ইলিয়াছের সঙ্গে মোবাইলে বন্ধুত্ব তৈরি করেন ওসি তদন্ত।
পরে দুইটি মোটরসাইকেল কেনার প্রস্তাব দিলে ওই বন্ধুত্বের ফাঁদে পড়ে ইলিয়াছ ওসি তদন্ত মো. কামাল উদ্দিনের প্রস্তাবে ২টি মোটরসাইকেল পিকআপে করে বিক্রয়ের উদ্দেশে বাঁশখালীতে নিয়ে আসেন।
শনিবার (১২ মে) রাতে হাতেনাতে চোরাই ২টি মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করে। উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেল ২টির মধ্যে পূর্ব চাম্বলের মোবারক আলীর চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটিও রয়েছে।
আটক ইলিয়াছ বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে চোরের দল মোটরসাইকেল চুরি করে আমার কাছে বিক্রয় করে। আমি ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে তা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করি। এভাবে অন্তত ৩০টি মোটর সাইকেল বিক্রয় করেছি।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, মোটর সাইকেল চোর মো. ইলিয়াছ বড় ধরণের চোর। ক্রেতা সেজে বন্ধুত্বের ফাঁদ পেতে তাকে মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়েছে।