নতুন রূপে এসেছে নগরের ঈদের পোশাকের কেনাকাটা। সেই সঙ্গে জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী টেরীবাজারের থান কাপড়ের সেরা কালেকশনগুলোতে। বড় পরিসর নিয়ে গড়ে উঠেছে অন্তত ৩০টি দোকান। দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে পরিবারের সব বয়সী সদস্যের পণ্য।
শপিংমলগুলোর মধ্যে রয়েছে মাসুম ক্লথ স্টোর, সানা ফ্যাশন মল, রাজপরী শপিং মল, জাবেদ ক্লথ স্টোর, মনে রেখ, শাড়ি কালেকশন, পরশমনি, বৈঠক বাজার, মৌচাক, মোহাম্মদীয়া শপিং, বধূয়া, জারা, রাজস্থান, বড় বাজার, আল ফয়সাল, রূপন্ত, নবারুন, আলমগীর ব্রাদার্স, জিম টেক্সটাইল, রাফি, এম্পোরিয়াম, মদিনা শপিং, বাসাবী, আলপনা প্লাস, স্টার প্লাস, কালার প্লাস, তাজমহল, নিউ আজমীর, মেগামার্ট, রাজস্থান ও কিংস ফ্যাশন।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসব শপিংমল ক্রেতার চাহিদাও পূরণ করছে। ক্রেতারা ভোগান্তি কমাতে এক দোকানে বসেই ক্রয় করছে পোশাক। পাইকারি ও থান কাপড়ের ঐতিহ্যকে ছাপিয়ে এখন নতুন পরিচয় ধারণ করেছে। এক দোকানে বসেই ক্রেতারা ক্রয় করছে বিভিন্ন পোশাক। পাইকারি ও থান কাপড়ের ঐতিহ্যকে ছাড়িয়ে এখন নতুন পরিচয় ধারণ করেছে এই শপিংমলগুলো।
টেরিবাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে শাড়ি, থ্রিপিস, সেলোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি, শিশু পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী।
মেগামার্ট হেড অব মাকের্টিং শামু দে জয়নিউজকে বলেন, আমাদের এখানে রয়েছে থ্রিপিচ, পাঞ্জাবি, কুরতি, মোদি, শাড়ি, লেহেঙ্গা, শার্ট ও প্যান্ট। আমাদের কাছে মেয়েদের জন্য এসেছে ভারতীয় ড্রেস শারারা, গারারা। এটির দাম ১৮৫০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। আমাদের এখানে খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে অনেক ভালো বিক্রি হবে।
শাড়ির মধ্যে রয়েছে লিলেন, জামদানি, কাতান, কটন, নেট, জর্জেট, শিফন প্রভৃতি থান কাপড়। দেশি বুটিকসের থ্রিপিস, দিল্লি বুটিকস, সানাসাফিনাস, বোম্বাই বুটিকস, তাওয়াক্কেল বুটিকস, মুটিস, ক্রিসেন্টসহ ভারতীয় ও পাকিস্তানি বাহারি ডিজাইনের সেলাইবিহীন থ্রিপিস। এসব কাপড়ের দাম মানভেদে প্রতি গজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
মল-২৪ এ শপিং করতে আসা সায়মা জাহান জয়নিউজকে বলেন, আমি থ্রিপিচ নিলাম। এখানে অনেক নতুন কালেকশন রয়েছে। আর দামটা সবার সাধ্যের মধ্যে আছে। এ মলে এসে বাচ্ছা থেকে শুরু করে বয়স্কদের কাপড়ও মিলে। এক ছাদের নিচে সব পাচ্ছি তাই কষ্টটা ও কম হচ্ছে।