ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) স্থায়ী ক্যাম্পাসের স্থাপত্যশৈলী দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ফ্রান্সের মন্টিপেলিয়ের বিজনেস স্কুল এর ডেপুটি ডিরেক্টর অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডমিশনস অ্যান্ড ট্যালেন্ট সিলেকশন ডিপার্টমেন্ট গেইলে এঞ্জালরিক।
সম্প্রতি তিনি পূর্ব নাসিরাবাদস্থ ইডিইউ ক্যাম্পাস পরিদর্শনে আসেন। এসময় তাকে বরণ করে নেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান।
ফ্রান্সের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মন্টিপেলিয়ের শহরে অবস্থিত এই বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে তার এই আগমন বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মন্টিপেলিয়ের বিজনেস স্কুল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন চিন্তা ও জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে চায়। এ লক্ষ্যে এগিয়ে চলা মন্টিপেলিয়ের বর্তমানে বিশ্বের মেধাবী মানুষদের মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠছে। এই চলার পথে চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিকেও পাশে পেতে চাই আমরা।
স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামসহ আরো কিভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা করা যেতে পারে, তা নিয়ে ইডিইউ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তা নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এঞ্জালরিক তার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানান, মন্টিপেলিয়ের শহরের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা ১৮৯৭ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ইউরোপের প্রাচীনতম এই বিজনেস স্কুলে স্নাতক,স্নাতকোত্তর ও অ্যাক্সিকিউটিভ এমবিএ প্রোগ্রাম চলমান আছে।
ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক সিকান্দার বলেন, জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন হয় জ্ঞানের বিনিময়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জ্ঞানের পারষ্পরিক বিনিময় দু’পক্ষকেই লাভবান করে। তাই ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সাথে সম্পর্ক ক্সতরিতে মন্টিপেলিয়ের বিজনেস স্কুলের যে আগ্রহ, তা খুবই ইতিবাচক।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, উদ্যোক্তা তৈরির যে লক্ষ্য নিয়ে মন্টিপেলিয়ের বিজনেস স্কুল কাজ করছে, একই লক্ষ্য ইস্ট ডেল্টারও। দু’পক্ষ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে তা ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখবে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির ও প্রক্টর অনন্যা নন্দী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি