ঘড়িতে সময় দুপুর ১২টা বেজে ৩০ মিনিট। তখন উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অভীষ্ট (এসডিজি) বিষয়ক কর্মশালা চলছে। এ সময় হঠাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীনের মুঠোফোনে খবর আসে হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার মাহবুব আলমের ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা তাহমিনা সুলতানার বিয়ে। তবে তার (তাহমিনা) বয়স সবে মাত্র ১৫ থেকে ১৬ বছর।
এমন সংবাদ পেয়ে দ্রুত কনের বাড়িতে পৌঁছে বর-কনের উভয়ের পরিবারের অভিভাবকদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়।
সোমবার (১৩ মে) হাটহাজারী গালস্ স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া তাহমিনা সুলতানার সঙ্গে তার খালাতো ভাইয়ের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
ওই দিন দুপুরে ইউএনও রুহুল আমীন উক্ত এলাকার মসজিদের ইমাম, স্কুল শিক্ষক, কাজী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কনের বাড়িতে পৌঁছালে বর ও তার সঙ্গীয় লোকজন গাড়ি নিয়ে সটকে পড়ে।
এ সময় কনের পরিবার ও উপস্থিত বরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ইউএনও এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়। এদিকে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল কনে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুঠোফোনে জয়নিউজকে জানান, মেয়েটির অভিভাবক ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী তাহমিনাকে তার খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ও বাল্যবিয়ে বন্ধ করি। মেয়ের বাবা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করে এবং মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে ১৮ বছর বয়স হলে বিয়ে দিবেন বলে মুচলেকা দিয়েছেন।