বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বরিশাল নগরীর দরগাহ বাড়ি রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে জেএমবির সক্রিয় সদস্য আব্দুল্লাহ আল মিরাজ ওরফে খালেদ সাইফুল্লাহকে (২৫) আটক করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, ২টি খালি ম্যাগজিন, ১৫টি ইলেকট্রিক সার্কিট ও বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর শুক্রবার তাকে কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
মিরাজ বরগুনা সদর উপজেলার ম-নশাতলী গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে। ২০১২ সালে জেএমবি নেতা জসিম উদ্দিন রাহমানির সঙ্গে গোপন বৈঠক করার সময় মিরাজ একবার গ্রেফতার হয়েছিল। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সে জামিনে মুক্ত হয়ে ফের জেএমবির কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়। সে ইলেকট্রিক বিভিন্ন সার্কিট বানাতে পারদর্শী বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, মিরাজ ২০০৬ সালে বরগুনা জেলার রফাচন্ডী মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করে। এরপর সে ইলেকট্রনিক্সের কাজ শেখার জন্য বরগুনা শহরের বরগুনা টেলিকম নামক একটি দোকানে কাজ শুরু করে। এ সময় সে জসীমউদ্দিন রহমানীর ওয়াজ শুনে জিহাদে উদ্ধুদ্ধ হয়। একই সময়ে সমমনোভাবাপন্ন আরও কয়েকজনের সঙ্গে পরিচিত হলে মিরাজ জেএবমির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। জেএমবি সদস্য নাজমুল ওরফে উকিলের কাছে মিরাজ প্রশিক্ষণ গ্রহন করে। সংগঠনের ওপর মহলের নির্দেশ অনুযায়ী সে কার্যক্রম চালাতো। জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিক মোবাইল সিম ব্যবহার করতো মিরাজ। ২০১২ সালে মিরাজ মনির জসিম উদ্দিন রহমানীর সঙ্গে গোপন বৈঠক করার সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। জামিনে বের হওয়ার পর বেশ কিছুদিন বাড়িতে অবস্থান করে। ২০১৪ সালে তার সাথে আবার নাজমুল, তারিকুল, সবুজসহ অন্যান্যদের যোগাযোগ হয়। ওই সময় থেকে মিরাজ বিভিন্ন স্থানে গোপনে বৈঠক করে এবং জেএমবি কার্যক্রম তথা সশস্ত্র উগ্রবাদে উদ্ধুদ্ধ হয়।