কক্সবাজারে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র পৃথক ঘটনায় দুই রোহিঙ্গাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, নিহতদের একজন ইয়াবার কারবারি আর দুইজন রোহিঙ্গা মানব পাচারে জড়িত ছিল।
মঙ্গলবার (১৪ মে) ভোরে কক্সবাজার শহরের কলাতলী কাটাপাহাড় এবং টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এই ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার মো. জহিরের ছেলে শহীদুল ইসলাম ভুলু (৩৬) এবং উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রহিম আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫২) ও টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুর রহিমের ছেলে আজিম উল্লাহ (২২)।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খোন্দকার বলেন, নিহত ভুলু একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পাঁচটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা ভুলুকে সোমবার (১৩ মে) বিকালে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে মঙ্গলবার ভোরে শহরের কলাতলী কাটাপাহাড় এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এসময় ভুলুর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। গোলাগুলি থামার পর ভুলুকে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন, জানান ওসি।
ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, একটি দেশে তৈরি বন্দুক ও দুটি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। ভুলুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কথিত বন্দুকযুদ্ধের অন্য ঘটনাটি ঘটে টেকনাফের শামলাপুর এলাকায়।
টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, সাগরপথে পাচারের জন্য কিছু লোককে ওই এলাকায় জড়ো করা হয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মানব পাচারকারীরা গুলি ছুঁড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পরে তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুস সালাম ও আজিম উল্লাহ বলে শনাক্ত করা হয়।
এ অভিযানে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বন্দুক এবং পাঁচটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
জয়নিউজ/আরসি