কয়েকবছর আগেও ঈদ এলেই নগরের ঝাউতলার বুটিক হাউসগুলো যেন প্রাণ ফিরে পেত। সারাদিন কাপড়ে জারদসি ও কাটচুপি কাজে ব্যস্ত থাকতো কারিগররা। তবে এখন মানুষের পোশাকের নিত্যনতুন ডিজাইনের পরিবর্তন আর ভারতীয় কাপড়ে সয়লাব বাজারে। তাই দেশিয় বুটিক হাউসগুলোতে নেই আগেরমতো অর্ডার। ফলে অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছেন বুটিক ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, আগে ঈদের সময় টেরীবাজারসহ বিভিন্ন কাপড়ের দোকান থেকে প্রচুর অর্ডার যেত তাদের কাছে। অনেকসময় তা দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ হয়ে যেত। কিন্তু এখন অর্ধেকও অর্ডার পাচ্ছেন না তারা।
পাপ্পু বুটিক হাউসের স্বত্বাধিকারী খালেদ জাফর জয়নিজকে বলেন, ভারতীয় কাপড় আসাতে আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। আগের মতো এখন আর তেমন কাজের অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। আগে যেখানে সারা দিন-রাত কাজ করতে হতো এখন ওইভাবে কাজ নেই বললেই চলে।
তিনি আরো বলেন, আমার হাউজে ৭ থেকে ৮ জন কারিগর আছেন। তাদের মাসিক মজুরি দক্ষতাভেদে ৮ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আবার অনেক বুটিক হাউস প্রোডাকশন অনুযায়ী মজুরি দেয়। কাজ কম থাকায় আপাতত কোনোরকম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।