কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ দেশের রাজনীতিকে ‘ঠিক পথে আনতে’ নিত্যনতুন প্রস্তাব দেন, এ খবর পুরনো। নতুন খবর হলো, খালেদা-তারেককে ছাড়াই বিএনপি জোট কীভাবে রাজনীতি করতে পারে এমন একটা ‘ইউনিক ফর্মুলা’ বের করে ফেলেছেন আলোচিত এই রাজনীতিক! সেই ‘ফর্মুলার’ স্বরুপ জানার চেষ্টা করেছেন মুহাম্মদ জুলফিকার হোসেন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে অনেকদিন। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আছেন লন্ডনে। অবস্থার প্রেক্ষিতে বিএনপির সঙ্গে জোটও হয়ে পড়েছে নেতৃত্বশূন্য। রাজপথ দূরে থাক, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ঘরোয়া রাজনীতিও তাই চলছে ঢিমেতালে।
এই অবস্থার উত্তরণে বিকল্প নেতৃত্বে সমাধান খুঁজতে চাইছেন এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ। এক্ষেত্রে অলি জোটের নেতা হিসেবে সবার আগে নিজের নামটাই প্রস্তাব করে বসেছেন!
অলির বক্তব্য, খালেদা জেলে, তারেক বিদেশে। এ অবস্থায় জোটকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতেই হবে।
খালেদা জিয়া সরকারের সময় দুই দফায় মন্ত্রিত্ব ও দলত্যাগের আগ পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করা এই রাজনীতিক বলছেন, খালেদা কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বিএনপি জোটকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত আছেন।
তবে এক্ষেত্রে তাকেই যে নেতা নির্বাচন করতে হবে, এমন দাবি তিনি করছেন না। তার বক্তব্য, সাংগঠনিক কাজে, বিশেষ করে খালেদা জিয়ার কারামুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করতে তাকে অথবা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্য থেকে কাউকে নেতা হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
তবে অন্য কাউকে নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অলি কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন। তার শর্ত, নেতা হিসেবে যাকেই নির্বাচন করা হোক না কেন, দল ও জোটের মধ্যে তার অবশ্যই গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। হতে হবে অভিজ্ঞ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকতে হবে আপসহীন অবস্থান।
কর্নেল অলি নেতা নির্বাচনের এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরকেই মূল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে এলডিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, বিএনপি জোটের রাজনীতিতে পরিবর্তন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতা-কর্মীরা মামলা-হামলা, হয়রানির শিকার হচ্ছেন, সাংগঠনিক কাজেও গতি নেই। এভাবেতো দল বা জোটের রাজনীতি চলতে পারে না। তাই খালেদা জিয়ার অবর্তমানে জোটের সিনিয়র নেতাদের মধ্য থেকেই কাউকে নেতৃত্বভার নিতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপিতে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়ার পরেই কর্নেল অলির কথাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হত। তাই তিনি যদি নেতৃত্ব নেন, আমার ধারণা জোটের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।