প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হুইলচেয়ার এশিয়া কাপ ক্রিকেটে স্বাগতিক নেপালকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ হুইলচেয়ার ক্রিকেট দল। এর ফলে শুক্রবার (১৭ মে) লিগপর্বের শেষ ম্যাচে ভারতকে হারাতে পারলেই ফাইনালে চলে যাবে মোহাম্মদ মহসিনের দল।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট মাঠে ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্ষিপ্র ফিল্ডিংয়ে ৬ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন রানআউট হয়ে।
নেপাল দল ৫ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় ১৪৮ রানে। বাকি ৪ উইকেটের মধ্যে ৩টি নেন মোহাম্মদ মহিদুল ইসলাম, ১টি উইকেট নেন মোহাম্মদ রহিম শেখ। স্বাগতিকদের পক্ষে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন হোমনাথ রায়। এছাড়া দিগাম সিং ৩৫ এবং বিষ্ণু পুকার করেন ১৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: বাংলাদেশ (ফিল্ডিং)
নেপাল: ১৪৮/১০, ১৯.১ ওভার (হোমনাথ রায় ৩৬, দিগাম সিং ৩৫, বিষ্ণু পুকার ১৬; মহিদুল ইসলাম ৩/২৬, রিপন শেখ ১/২২)
বাংলাদেশ: ১৪৯/২, ১৮.৩ ওভার (সাজ্জাদ হোসেন ৩১, জাভেদ আহমেদ ৩৮, রিপন উদ্দিন ৫০*, আসিফ হোসেন ১৩*; সুপার রায় ১/২৭, দিগাম সিং ১/৩৩)
ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: রিপন উদ্দিন
১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৮ রান করে ফেলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাজ্জাদ হোসেন এবং জাভেদ আহমেদ। ইনিংসের ১০ম ওভারে ৩০ বলে ৩১ রান করে ফেরেন সাজ্জাদ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন ৭৪ রানের ইনিংস।
ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও তা করতে পারেননি অপর ওপেনার জাভেদ। দলীয় ৯২ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে সাত চারের মারে ৩৪ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। জয়ের জন্য বাকি থাকা ৫৭ রান অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে করে ফেলেন রিপন উদ্দিন এবং আসিফ হোসেন।
দুইজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাত্র ৩৭ বলে আসে ৫৭ রান। আগের ম্যাচে ৩২ রান করা রিপন এদিন অপরাজিত থাকেন ৩৫ বলে ১০ চারের মারে ৫০ রান করে। এছাড়া ১৪ বলে ১৩ রান করেন আসিফ। অপরাজিত ফিফটির সুবাদে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতেন রিপন।
চার দলের টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে ১টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে নিজেদের দুই ম্যাচেই হেরে গিয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে স্বাগতিক নেপালের। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়ছে ভারত ও পাকিস্তান। এ ম্যাচে পাকিস্তান জিতলে তারা চলে যাবে ফাইনালে।
পরে শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে ফাইনাল। তবে আজকের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত জিতলে কঠিন হবে সমীকরণ। সেক্ষেত্রে আগামীকাল ভারতকে হারালেই চলবে না, মাথায় রাখতে হবে নেট রানরেটের কথাও।