মধু কই কই বিষ খাওয়াইলা. . . চট্টগ্রামের একটি জনপ্রিয় আঞ্চলিক গান। আজকাল বাজার থেকে কলা কেনার ক্ষেত্রে এ গানটি বেশ মিলে যায়। দোকানির কাছ থেকে বেশ বড় বড় সাইজের কলা কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফিরেন ক্রেতা। অথচ এসব কলা নাকি স্বাভাবিকভাবে পাকে না। পাকানো হয় কেমিক্যাল ব্যবহার করে। কলা নিয়ে এমন ছলাকলার ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে হাটহাজারী উপজেলার সবকটি বাজারে।
অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে কৃত্রিম উপায়ে কলা পাকাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কাজটি নাকি এমন কৌশলে করা হয় যাতে ক্রেতারা বুঝতে না পারে।
শনিবার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এমন তথ্যের ভিত্তিতে হাটহাজারী পৌরসভার কবুতর হাট এলাকায় কলার আড়তে অভিযান চালায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন। এ সময় ফল পাকাতে ও রঙ আনতে ব্যবহৃত বিষাক্ত কেমিক্যাল উদ্ধার এবং এক কর্মচারীকে আটক করা হয়।
অভিযানকালে কেমিক্যাল মেশানো প্রায় ২ মণ আম ও বেশ কিছু কলা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। তবে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান আচঁ করতে পেরে এসব অনৈতিক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেমিক্যালগুলোর কিছু ওই কলার আড়তের ছাদে ও বাইরে ফেলে দেয়।
ইউএনও রুহুল আমীন এ প্রতিবেদককে জানান, রাইপেন-১৫ (Ripen-15) নামে একটি কেমিক্যাল মেশানোর পর একদিনের মধ্যে কলা পেকে যায়। কোনোটার রঙ হয় হলুদ, কোনোটার আবার গাঢ় হলুদ। এরপর বিক্রির জন্য দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়।
বাজার করতে আসা হাটহাজারী পৌরসভার মো. আবুল কালাম জানান, কলার আড়তসহ বিভিন্ন ফলের দোকানে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী দেদারসে কেমিক্যাল ব্যবহার করে চলেছেন। এসব আড়তে ও দোকানে কোনো কোনো ব্যবসায়ী ফল পাকাতে আবার কেউ কেউ ফলে পাকানা রঙ আনতে এ ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহার করছে।
চিকিৎসকদের মতে, ফল পাকাতে ও রঙ আনতে ব্যবহৃত বিষাক্ত এই কেমিক্যাল পর্যায়ক্রমে শরীরের কিডনি ও লিভারসহ বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করে।