২০৩৩ সালে মঙ্গলে?

চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন নিল আর্মস্ট্রং ও বাজ় অল্ড্রিন। এটি অর্ধশতক বছর আগের কথা। এবার মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার কথা ভাবছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা।

- Advertisement -

২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর এক নির্দেশিকায় সই করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই নির্দেশিকার বক্তব্য অনুযায়ী, ২০৩৩ সালে মঙ্গলে পাড়ি দেবেন নাসার মহাকাশচারীরা।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৩৩ সালের মধ্যে লালগ্রহে পা ফেলা বেশ কঠিন।এজন্য একপ্রকার অসাধ্য সাধন করতে হবে বিজ্ঞানীদের।

- Advertisement -google news follower

সম্প্রতি এক সম্মেলনে নাসার অন্যতম কর্তা জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, নতুন চন্দ্রাভিযানে আমাদের দক্ষতা, ক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে। সেখানে সফল হলে পরবর্তী লক্ষ্য মঙ্গল।
হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারের অন্যতম বিশেষজ্ঞ রবার্ট হাওয়ার্ডের মতে, বিষয়টি বিজ্ঞান কিংবা প্রযুক্তিগতভাবে যত না জটিল, এর থেকেও বেশি চিন্তার বিশাল অঙ্কের খরচ। তাছাড়া রাজনৈতিক বাধার মুখেও পড়তে হতে পারে। দেশের সরকার এমন অভিযানে কতটা ইচ্ছুক, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।

তিনি বলেন, বহু মানুষ চান সেই ‘অ্যাপেলো মোমেন্ট’-এর স্বাদ নিতে। কিন্তু তার জন্য কেনেডির মতো প্রেসিডেন্টও চাই। দেশের মানুষকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।

- Advertisement -islamibank

হাওয়ার্ড বলেন, মহাকাশযানের নকশা তৈরি, তারপর যান নির্মাণ, বিভিন্ন পরীক্ষা, এসবতো রয়েছেই। চাঁদে পাড়ি দেওয়ার পর পৌঁছতে লাগবে তিন দিন। কিন্তু মঙ্গলে পৌঁছতে কমপক্ষে ৬ মাস। গোটা অভিযান শেষ করতে দু’বছরেরও বেশি। ২৬ মাস অন্তর মঙ্গল ও পৃথিবী সবচেয়ে কাছে আসে। মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার জন্য ওই সময়টাই সেরা।

বিজ্ঞানীদের একাংশ অবশ্য খরচের থেকে অন্য বিষয়ে বেশি চিন্তিত। নাসার বিজ্ঞানী জুলি রবিনসন বলেন, দ্বিতীয় চিন্তা হচ্ছে খাবার। অত দিনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাছাড়া কেউ অসুস্থ হলে নিজেদের দেখভাল, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া জানতে হবে। মহাকাশচারীদের পোশাকও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থেকে বাঁচার মতো পোশাক চাই এবং সর্বোপরি, টানা দু’বছর জনমানব-বর্জিত হয়ে থাকা।

জয়নিউজ/হিমেল

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM