রমজান মাসে ইফতারের দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা আগে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। প্রধান প্রধান সড়কের এই যানজটের প্রভাব পড়ে অলিতে-গলিতেও। যানজটের কারণে বাসাবাড়িতে ইফতার করতে যেতে না পেরে রাস্তাতেই ইফতার সারতে হয় অনেককে।
রোজার দিনগুলোতে নগরের অক্সিজেন, মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, ওয়াসা, কাজীর দেউড়ি, চকবাজার, আন্দরকিল্লা, কোতোয়ালি মোড়, আগ্রাবাদ, লালখান বাজারসহ প্রধান প্রধান সড়কগুলো ঘুরে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
যানজটে আটকে পড়া ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল আলম জয়নিউজকে বলেন, পরিবারের সঙ্গে ইফতার করার জন্য দোকান বন্ধ করে বাসায় যাই। কিন্তু রাস্তায় এত যানজট যে বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেক সময় ইফতারের সময় হয়ে যায়। প্রতিদিন ইফতারের দুই-আড়াই ঘণ্টা আগে এ যানজট শুরু হয়। এ সময় গাড়ি চালকরাও যেতে চায় না যানজটের কারণে। রিকশা-ট্যাক্সিচালকরা বাড়তি ভাড়া দাবি করে।
এছাড়া সন্ধ্যার পর নগরের নিউমার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেন ও নিউমার্কেটের বিপরীতে ফুটপাত ঘুরে দেখা যায়, ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের ভিড়। এসব মার্কেটকে ঘিরে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট।
নিউমার্কেটে শপিংয়ে আসা নুসরাত জাহান জয়নিউজকে বলেন, ঈদের বাজার করতে এলাম। কিন্তু যানজটের কারণে কি আর শপিং করব! আগ্রাবাদ থেকে নিউমার্কেট আসতে সময় লেগেছে আড়াই ঘণ্টার মতো।
নগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) হারুন রশিদ হাজারী বলেন, ইফতারের আগে যানজট থাকবেই। সবাই চায় পরিবারের সকলের সঙ্গে ইফতার করতে। তাই এ সময় ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকে সড়কে। সবাই যদি একসঙ্গে বের হয় তাহলে যানজট হবেই। এছাড়া যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং ও যাত্রী ওঠানামা করানো- এসব কারণেও যানজট হয়। তবে যানজট কমিয়ে আনার জন্য ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করব যানজট যেন আরো কমিয়ে আনতে পারি। ট্রাফিকের পাশাপাশি গাড়িচালক এবং যাত্রীরা একটু সহযোগিতা করলে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।
জয়নিউজ/আরসি