কেবল তরকারির উপকরণ হিসেবে নয়, বহুকাল আগে থেকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে রসুন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মানুষ বিভিন্ন অসুখ সারাতে রসুন ব্যবহার করে।
প্রাচীন গ্রিকরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে রসুন ব্যবহার করত। এছাড়া অলিম্পিক গেমের ক্রীড়াবিদরা প্রতিযোগিতায় ভালো করার জন্য রসুন খেতেন। প্রাচীন চীন ও জাপানে রসুনকে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ঘরোয়া উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হতো। ভারতে হৃদরোগ ও গাঁটে ব্যথা প্রতিরোধে দীর্ঘকাল ধরেই রসুন ব্যবহার হয়ে আসছে।
আবার বিভিন্ন দেশে রোগ নিরাময়কারী উপাদান হিসেবে মধু ব্যবহার হয়। রসুন ও মধুকে একত্র করলে এর গুণ আরো বেড়ে যায়। রসুন ও মধুর মিশ্রণ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, ঠাণ্ডা, জ্বর, কফ ইত্যাদি সারাতে বেশ ভালো কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শুধু সাতদিন রসুন ও মধুর মিশ্রণ খেতে হবে।
জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট রাইস আর্থ জানিয়েছে মধু ও রসুনের এই মিশ্রণটি তৈরির প্রণালি।
উপাদান:
একটি মাঝারি আকৃতির বয়াম, মধু, তিন থেকে চারটি রসুন।
প্রস্তুত প্রণালি:
প্রথমে বয়ামের মধ্যে রসুনের কোয়াগুলো নিয়ে এর মধ্যে মধু ঢালতে হবে। বয়ামের মুখ বন্ধ করে মিশ্রণটি ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতিদিন খালি পেটে মিশ্রণটি আধা চা চামচ করে খাওয়া যায়। দিনে ছয়বার আধা চা চামচ করে খেলে এটি ঠাণ্ডাজনিত সংক্রমণ দূর করবে।