নতুনদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল নগরের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (পিসিআইইউ)। সোমবার (২০ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সামার-২০১৯’ ট্রাইমেস্টারে শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরল আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পিসিআইইউ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. মজিবুর রহমান এবং এহসানুল হক রিজন।
প্রধান অতিথির বক্ত্যবে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ক্যারিয়ার গঠনে সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য হয়না। নবীন শিক্ষার্থীদের উচিত যথাযথ জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে দেশ ও সমাজের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখা। এসময় তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে পিসিআইইউ অবদান ও সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসাও করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছেন। কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রজেক্টে নতুনদের কর্মসংস্থান হবে। সেই লক্ষ্যে নিজেদের গড়তে তুলতে হবে।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরল আনোয়ার অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে উপস্থিত হওয়ায় জন্য ধন্যবাদ জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেওয়ার পথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জ্ঞাপন করেন তিনি।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিসিআইইউর রেজিস্ট্রার ওবায়দুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মাফজল আহমেদ, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফসিউল আলম, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. ইউনুস এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. সুদীপ পাল।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে পিসিআইইউর বিভিন্ন অর্জন নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় ৪২ জন শিক্ষার্থীকে বেগম আশ্রাফুন্নেসা ফাউন্ডেশন থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মিশু বড়ুয়া এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ফারজানা রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সেলিম হোসেন, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।