রমজান মাসে রোজা পালন করছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা। এই মাসে রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়। রমজানে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ।
রোজা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। রোজায় সেহরি ও ইফতারকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজন চোখে পড়ে। স্বচ্ছল পরিবারগুলো বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করেন। যাদের সামর্থ্য নেই তাদের জন্য রোজা রাখাটাও কষ্টকর হয়ে পড়ে অনেকসময়। তাদের কাছে সেহরি বা ইফতারে বিশেষ কোনো আয়োজন থাকে না। বিশ্বের অনেক দেশেই সেহরি ও ইফতারের সময় প্রচুর খাবার নষ্ট করা হয়। আবার অন্য প্রান্তের লাখ লাখ মানুষ হয়তো শুধু একটু পানি আর কয়েকটি খেজুর দিয়েই ইফতার করেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে এই রোজার সময় সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয়। খাবার এবং পানির সংকট আর শত্রুদের হামলার আতঙ্কের মধ্যেই রোজা পালন করতে হয় রোজাদারদের।
সম্প্রতি গাজা উপত্যকা থেকে তোলা ইফতারের মুহূর্তের বেশকিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এসব ছবি দেখে যে কারো চোখে পানি চলে আসবে। ওই ছবিগুলোতে দেখা গেছে খোলা আকাশের নিচেই ইফতার করছেন অনেক ফিলিস্তিনি পরিবার।
হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। ইফতারের সময় সেই ভেঙে পড়া বাড়িঘরের সামনেই বড় টেবিল পেতে ইফতার করছেন শিশু বৃদ্ধ পুরুষ ও নারীরা।
তাদের মাথার ওপর এক টুকরো ছাদও নেই। খাবার আর পানির সংকটও রয়েছে। তবুও তারা ধৈর্যহারা না হয়ে এমন পরিস্থিতিতেও সাহস নিয়ে বেঁচে আছেন। বিভিন্ন পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে ইফতার করছেন।
সংঘাত তাদের মনোবল নষ্ট করতে পারেনি।
জয়নিউজ/আরসি