বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করেনি। তবে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভিসা সেকশনে জনবল না থাকায় ভিসা ইস্যু করা যাচ্ছে না, বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশর অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশ বিক্ষুব্ধ। তবে ভিসা ইস্যুতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টানাপোড়েনের সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ বা অন্য কোনও কারণে ব্যক্তি বিশেষে বাংলাদেশ তাদের ভিসা নাও দিতে পারে। তবে ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত ভুল তথ্য ছাপা হওয়ায় আমরা এর প্রতিবাদ পাঠাবো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কিছু অফিসারককে তারা ভিসা দিচ্ছে না। বিশেষ করে কনস্যুলার সেকশনে যারা ভিসা দেয়, তাদেরকেই ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে ভিসা দেওয়ার কাজটি করবে কে?
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনস্যুলার (প্রেস) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তবে চার মাস পেরিয়ে গেলেও তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। ইকবাল হোসেন জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে টানাপড়েন চলছে।